খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা শহরের অদূরে বটিয়াঘাটা উপজেলায় অবস্থিত।
এখানে বর্তমানে ৫ টি অনুষদের অধীনে ২১ টি ডিসিপ্লিন এবং ১ টি ইনস্টিটিউট রয়েছে।
১৯৭৪ সালে ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে খুলনা বিভাগে উচ্চ শিক্ষার্থে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। ১৯৭৯ সালের ১০নভেম্বর তৎকালীন সরকারের ক্যাবিনেটে খুলনায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অধ্যাদেশ ৫(১)জি ধারা মতে খুলনা বিভাগে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ১৯৮৩ সালে সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৬ডিসেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৮৭ সালের জানুয়ারি৪ গেজেটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৮৯ সালের ৯মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮৯ সালের ১অগাস্ট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রকল্প পরিচালক এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯০ সালের ৩১ জুলাই তারিখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংসদে পাস হয় যা এই প্রতিষ্ঠানের কার্যবিধি নিয়ন্ত্রণ করে।[২] অবশেষে, ১৯৯১ সালের ২৫নভেম্বর একাডেমিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীবেগমখালেদাজিয়া। ঐ বছর থেকে মোট চারটি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। [১]
ছবি | নাম | মোবাইল | ইমেইল |
---|---|---|---|
![]() |
ড. মোঃ ফায়েকউজ্জামান | 0 | vc@ku.edu |
ছবি | নাম | মোবাইল | ইমেইল |
---|
১৯৯১ সালে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের পরিচয় হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৪ বছরের ব্যবসায় প্রশাসন এ স্নাতক ডিগ্রী (ব্যবস্থাপনা) দেবার ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ বাংলাদেশের মাঝে এক অগ্রদূত (আরেকটি হল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ব্যাবস্থাপনা ও পরিচালনা পদ্ধতিগুলির উন্নয়নের জন্য এই অনুষদ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতি তার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ফোরামে যেমন AMDIB (Association of Management Development Institutions of Bangladesh) and AMDISA (Association of Management Development Institutions in South Asia ) তে সক্রিয় অংশগ্রহণ মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌ কর্মকর্তাদের জন্য নিয়মিত ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মসূচী থেকে এই প্রতিশ্রুতি আরো মূর্তমান হয়ে উঠে। দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন যাতে ছাত্ররা পাস করে বের হয়ে চাকরি ক্ষেত্রে ভাল জায়গায় পৌছাতে পারে এবং তাদের মেধার সাক্ষর রাখতে পারে।
প্রস্তাবিত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর কর্তৃক জারীকৃত শিক্ষার্থী আচরণ বিষয়ক নীতিমালা অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। তবে শিক্ষক ও কর্মচারী - কর্মকর্তাদের জন্য রাজনীতি বিষয়ক কোন প্রকার বাধ্য-বাধকতা নেই।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। বর্তমানে অধ্যাপক ড. মো: ফায়েক উজ্জামান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
ক্রম | নাম | দায়িত্বগ্রহণ | দায়িত্বহস্তান্তর |
১ | ড. গোলামরহমান(প্রকল্পপরিচালকওপ্রথমউপাচার্য) | ||
২ | ড. মুহম্মদগোলাম আলীফকির | ||
৩ | ড. এস. এম. নজরুলইসলাম | ||
৪ | ড. জাফররেজাখান | ||
৫ | ড. এমআবদুলকাদিরভূইয়া | ||
৬ | ড. মো: মাহবুবুররহমান | ||
৭ | ড. মো:সাইফু্দ্দীনশাহ | ||
৮ | ড. মো: ফায়েকউজ্জামান(ভারপ্রাপ্ত) | ||
৯ | ড. মো: ফায়েকউজ্জামান | বর্তমান |
প্রক্টর,
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।