প্রকৃতির অপূর্ব লীলাভূমি খুলনা বিভাগ। বিচিত্র তার রূপ। প্রাচীন র্কীতিরাজি আর প্রত্ন সম্পদে ভরপুর খুলনা।বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত খুলনা বিভাগের পুরাকীর্তিগুলো হলোঃ-
খুলনা জেলারকয়রা উপজেলার মসজিদকুঁড় মসজিদ, ফুলতলা উপজেলার রবীন্দ্রনাথের শ্বশুর বাড়ী ও ধুপখোরা মসজিদ(তিন গম্বুজ মসজিদ), পাইকগাছা উপজেলার স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের বাড়ী।
সাতক্ষীরা জেলা সদরের ছয়ঘড়িয়া জোড়াশিব মন্দির, অন্নপূর্ণা মন্দির ও জমিদার বাড়ী জামে মসজিদ, তালা উপজেলার দরবার স্তম্ভ, ঝুড়িঝাড়া ঢিবি ও তেতুলিয়া জামে মসজিদ, কলারোয়া উপজেলার কোঠাবাড়ির থান ও শ্যামসুন্দর মন্দির, শ্যামনগর উপজেলার গোবিন্দ দেবের মন্দির তৎসংলগ্ন ঢিবি, যশোরেশ্বরী মন্দির, যীশুর গীর্জা ও ইশ্বরীপুর হাম্মাম খানা, কালিগঞ্জ উপজেলার প্রবাজপুর শাহী মসজিদ।
বাগেরহাট জেলা সদরের ষাট গম্বুজ মসজিদ, সাত গম্বুজ মসজিদ, নয়গম্বুজ মসজিদ, রণবিজয়পুর মসজিদ, সিংগার মসজিদ, বিবি বেগুনী মসজিদ, চুনাখোলা মসজিদ, রেজা খোদা মসজিদ, উলুঘ খান জাহান মসজিদ এবং বাড়ী, এক গম্বুজ জামে মসজিদ, খানজাহানের সমাধি, পীর আলীর সমাধি, সাবেক ডাঙ্গা, কোদলা মঠ, আদিনা প্রত্ন ঢিবি দশ গম্বুজ মসজিদ, জিন্দাপীর মাজার ও মসজিদ এবং উলুঘ খানজাহান(রঃ)কর্তৃক নির্মিত প্রাচীন রাস্তা।
যশোর জেলা সদরের হাজী মোহাম্মদ মহসিনের ইমামবাড়া, চাঁচড়া শিব মন্দির, কেশবপুর উপজেলার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ী ও স্মৃতি ভাস্কর্য, ভরত ভায়না, মির্জানগর হাম্মাম খানা, শেখপুর জামে মসজিদ, মনিরামপুর উপজেলার দমদম পীরের ঢিবি, ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমখোলা মসজিদ, অভয়নগর উপজেলার ১১ শিব মন্দির ও পীর খানজাহান আলীর (রঃ) জামে মসজিদ।
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ড. নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়ী ও জোড়া বাংলা মন্দির।
ঝিনাইদহ জেলা সদরের গোরার মসজিদ ও নলডাঙ্গা গ্রামে সিদ্ধেশ্বরী মঠবাড়িতে অবস্থিত পঞ্চরত্ন মন্দিরম(বিষ্ণু মন্দির), কালিগঞ্জ উপজেলার মুকুট রাজার প্রাসাদ, পাঠাগার ঢিবি, জোড় বাংলা ঢিবি(মসজিদ), খড়ের দিঘি ঢিবি, মনোহর দিঘি মসজিদ, বাদেদিহি ঢিবি, নামাজগাঁও, দম দম ঢিবি, গোপের ঢিবি, সিংদহ আউলিয়া মসজিদ, সাতগাছিয়া গায়েবানা মসজিদ, জাহাজঘাটা, গলাকাটা দিঘি ঢিবি মসজিদ, পীরপুকুর, নুনগোলা ও শুকুর মল্লিক, হরিণাকুন্ড উপজেলার দিক নগর ঢিবি, মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর প্রাচীন নীলকুঠি ভবন।
মাগুরা জেলা সদরের ভাত ভিটা, মোহাম্মদপুর উপজেলার রাজা সীতারাম রায়ের বাড়ী, রাধারাম গ্রামের সীতারাম রাজার কাচারি বাড়ী, দশভূজা, কৃষ্ণ মন্দির ও দোল মঞ্চ।
কুষ্টিয়া জেলা সদরের ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ, কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ীভ
মেহেরপুর জেলা সদরের আমঝুপি নীলকুঠি।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত উক্ত পুরাকীর্তি ছাড়াও যেসকল পুরাকীর্তি খুলনা বিভাগকে ঐশ্বর্যশালী করেছে তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ-
মেহেরপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিব নগরের স্মৃতিসৌধ ও মুজিবনগর কমপ্লেক্স, কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার, প্রমত্তা পদ্মা নদীর উপর নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ ব্রিজ, সাতক্ষীরা জেলার আধ্যাত্মিক সাধক ও শিক্ষাবিদ খান বাহাদুর আহসান উল্লার জন্মভূমি নলতা শরীফ, অপরূপ চিত্রার পাড়ে বঙ্গখ্যাত নড়াইলের জমিদারের শান বাঁধানো ঘাট, শতাব্দির প্রাচীন নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ, বিনোদন কেন্দ্র নিরিবিলি, পাতাল ভেদি বাজার পাতাল প্রাসাদ, গাজী-কালু-চম্পাবতির মাযার, ঐতিহাসিক মহাম্মদ নগর (বারো বাজার), তিয়ার বাজার বাড়ি, প্রতাপাদিত্যের প্রতাপগড়, নবরত্ন মন্দির, তালা উপজেলার তেঁতুলিয়ার ঐতিহাসিক মসজিদ, আধ্যাত্মিক সাধক পীর খান জাহানের (রঃ) পানীয় জলের অসংখ্য দিঘি, অযোদ্ধা মঠ ইত্যাদি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস